ওসমানি উদ্যান ও বিবি মরিয়ম কামান

১৮৮০ খ্রিস্টাব্দে চকবাজার মসজিদের সামনে অবস্থিত বিবি মরিয়ম কামান

১৭ শতকে সম্রাট জাহাঙ্গীর ঢাকায় বাংলার রাজধানী স্থাপন করলে রাজধানী ঢাকার প্রতিরক্ষা ব্যাবস্থা জোরদার করতে বেশ কিছু কামান তৈরি করা হয়। এসব কামানের মধ্যে “কালে খাঁ জমজম” ও “বিবি মরিয়ম” বিশালত্বে, নির্মান শৈলিতে ও সৌন্দর্যে ভারত খ্যাত হয়ে ওঠে। “কালে খা” বুড়িগঙ্গা নদীতে তলিয়ে গেলে বিবি মরিয়ম হয়ে ওঠে দর্শনীয় বাস্তু। বিবি মরিয়িমের  দৈর্ঘ্য ১১ ফুট। মুখের ব্যাস ৬ ইঞ্চি। ঢাকার কামান তৈরীর কারিগর জনার্ধন কর্মকার অত্যন্ত শক্ত পেটানো লোহা দিয়ে কামানটি তৈরী করেন। মুবাদার মীর জুমলা ১৬৬১ সালি আসাম অভিযানের সময় ৬৭৫ টি কামান ব্যবহার করেন তার মধ্যে বিবি  মরিয়ম ছীল সর্ববৃহৎ। যুদ্ধ বিজয়ের স্মারক হিসেবে তিনি বিবি মরিয়মকে বড় কাটরার দক্ষিণে সোয়ারীঘাটে স্থাপন করেন। তখন কামানটি মীর জুমলার কামান নামে পরিচিতি লাভ করে। ১৮৪০ সালে তৎকালীন ঢাকার ম্যাজিস্ট্রেট ওয়ালটারস ঢাকার চকবাজারে এটিকে স্থাপন করেন। পরবর্তীতে ১৯২৫ সালে বিবি মরিয়িমকে সদরঘাটে স্থাপন করা হয়।  গত শতকের মাঝামাঝি সময়ে বিবি মরিয়িমকে সদর ঘাট থেকে এনে শহরের শোভা বর্দনের জন্য ঢাকার কেন্দ্র স্থল গুলিস্থানে স্থাপন করা হয়।  ১৯৮৩ সালে বিবি মরিয়মকে গুলিস্থালের মোর থেকে উঠিয়ে এন ওসমানি উদ্যানের প্রধান ফটকের পেছনে স্থাপন করা হয়।

শত বছরের সাক্ষি হয়ে থাকা এই বিবি মরিয়িমকে দেখতে চাইলে আপনিও আসতে পারেন উসমানি উদ্যানি।