না দেখা চিঠি
প্রিয়তম অপ্সরি
তুমি যখন আমার পাশে ছিলে, তখন গাছের নীচে গেলে আমার ভীষণ আনন্দ বোধ হতো। লতাপাতার উৎসাহ দেখে আমি সারাদিন তার কাছে ঘুরে বেড়াতাম। কোন কোন দিন, পাখিদের বাসভূমিতে আমার অনেক উপাখ্যান শোনা হতো। তুমি যখন আমার কাছে ছিলে, তখন প্রত্যহ সূর্যোদয় দেখতে যেতাম। সারাদিন তোমার সাথে ঝগরা করতাম। দুস্টমি করতাম। তুমি প্রচুর রেগে যেতে। তোমার আম্মুকে নালিশও দিতে। লেগেই থাকতাম তোমার পিছু। কেন জানি তুমি প্রচুর বিরক্ত হতে, আমার ভাল লাগত তোমায় রাগাতে। কেন চলে গেলে এভাবে? রানি তুমি যখন আমার কাছে ছিলে তখন, আমার রোজ ভোরবেলা ঘুম ভাঙতো, যেতাম প্রকৃতির কাছে মানবিক অনুভূতি নিয়ে মানুষের দুঃখ দেখে আমার তখন ভীষণ কান্না পেতো। এখন আমার আর সেই অনুভব ক্ষমতা নেই মানুষের নিষ্ঠুরতা ও পাপ দেখেও আমি দিব্যি চায়ের দোকানে বসে হাসতে হাসতে চা খাই, প্রকাশ্যে সিগারেট টানি। মাঝে মধ্যে বিয়ার, ভোটকাও চলে। এখন সেলুনে চুল কাটার সময় পাশেই অবৈধ কতো কী ঘটে যায়, আমার হৃদয়ে তার কোন প্রতিকৃয়া হয় না। তুমি কাছে না থাকলে আমি দিন দিন অমানুষ হয়ে উঠি আশেপাশে সবার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করি মানুষ ও প্রকৃতির দিকে চেয়ে আমার হিংসা বোধ হয় তুমি না থাকলে মেয়েদের রূপ কিংবা ফাহমিদা খাতুনের রবীন্দ্রসঙ্গীত কিছুই আমাকে আকর্ষণ করে না। শিশুদের প্রতি মমত্ববোধ জাগে না, আমার একে একে সকাল দুপুর সারাদিন নষ্ট হয় কোনোকিছুই করতে পারিনা আমি। তুমি না থাকলে বড়ো দুঃসময় যায়, সর্বত্র বন্ধু বিহীনভাবে বাস করি। এই ঢাকা শহর ভীষণ রুক্ষ মনে হয়। কেউ ডাকলে সাড়া দেয় না, সবাই আমার বিরুদ্ধাচরণ করে। তুমি না থাকলে এই বাড়িঘর শহরের লোকজন সম্পূর্ণ আমার অপরিচিত মনে হয়। নিজেকেই নিজের অচেনা লাগে মনে হয় দীর্ঘ দিন থেকে আমি যেন কোনো অজ্ঞাত অসুখে ভুগছি তুমি না থাকলে বাস্তবিক আমি বড়ো কষ্টে পড়ি বড়োই কষ্ট হয়। কষ্টে আছি অনেক।
wow excellent letter.
ReplyDelete