সহজে সুস্থ থাকার ৫টি পরামর্শ - BANGLA Health Motivational Tips

স্বাস্থকে আমরা টাকার সাথে তুলনা করতে পারি। টাকা ফুরিয়ে গেলে যেমন তার মূল্যায়ন করি ঠিক তেমনি অসুস্থ হওয়ার পরই চিন্তা করি এবার ঠিকঠাক শরিরের যত্ন নিব। অসুস্থ হওয়ার আগে যত্ন নিলে কিন্তু আর শরীর খারাপের কষ্টটা ভোগ করতে হয় না্। যে সময় গুলো আপনার বাজে কাজে ব্যাবহার হয়  শধু শেই সময়টাই যদি আপনার শরীরের পেছনে ব্যায় করতে পারেন। তাহলেই আপনার স্বাস্থের অবস্থা কতটা উন্নতি হতে পারে সে  ব্যাপারে আপনার কোন ধারনাই নেই। আপনাদের সাথে এখানে এমন ৫ টা সহজ টিপস শেয়ার করব যা ফলো করে অপনি খুব সহজেই ভালো থাকতে পারবেন।

【১】 বা দিক থেকে শোয়া
SLEEP ON YOUR LEFT SID

আমাদের শরীরের গঠন অনুযায়ী ডান দিক থেকে শুলে আমাদের পাকস্থলির ভেতর বিভিন্ন রকম অসুবিদার সৃষ্টি হয়। যার কারনে বদ হজম, রক্ত চলাচলে সমস্যা, হৃদপিন্ডের প্রদাহ সহ বিভিন্ন রকমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। অপরদিকে বা দিক থেকে শুলে পাচক রস গুলো ভালভাবে কাজ করতে পারে এবং ভাল হজম হয়। তাহলে বুজতেই পারছেন বা দিক থেকে শোয়া আপনার স্বাস্থের জন্যা কতটা গুরুত্বপূর্ন। 

【২】পানি পান করুন

 WATER DRINK REMINDER

আমাদের ব্যাস্ততম জীবনে জল খাওয়ার কথা একেবারে ভূলেই যাই। শুধুমাত্র যখন আমাদের পানি তৃষ্না পায় শুধুমাত্র তখনই কিছুটা পানি পান করি। যা আমাদের শরিরের জন্য একেবারেই যথাযথ নয়। আপনার শারীরিক সুস্থতার কথা বিবেচনা করে একটা ANDROID APP তৈরি করা হয়েছে যার মাধ্যনে আপনি সারাদিন কতটা পানি পান করলেন, কথন পান করলেন এর সকল কিছুু জানা যাবে সাথে সাথে আপনার কখন কখন পানি পান করা উচিৎ সেটা নোটিফিকেশন দিয়ে জানিয়ে দেবে। আপনার ছোট বেলায় যে কাজটা আপনার মা করতো।   নিচের লিংক এ গিয়ে আপনি ‍এটা আপনার ডিভাইস এ রাখতে পারেন। Water Drink Reminder

【3】হাটুন প্রতিদিন

        WALK MORE

WORLD HEALTH ORGANISATION এর মতে সুস্থ থাকার জন্য আমাদের প্রতিদিন ৮০০০ স্টেপ হাটা উচিৎ। লর্ড  কেলভিন বলেছিলেন IF YOU CAN'T MEASURE IF YOU CAN'T IMPROVE IT.  আপনি দিনে কত স্টেপ হাটছেন তা মাপার জন্য MI BAND ব্যবহার করতে পারেন। আমি নিযেও একাটা ব্যান্ড ব্যাবহার কারি। মূল বিষয় হচ্ছে যে হাটার জন্য যে ব্যানটা কিনতেই হবে সেটা  কিন্তু গুরুত্বপূর্নু নয়। আপনার সচেতন হওয়াটাই সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ন।

【৪】 ৩২ বার চিবিয়ে খাবার খান
        CHEW FOOD 32 TIMES                
অায়ুর্বেদ এ বলা হয়েছে যে কোন রোগের মূল হচ্ছে আমাদের পেট। যদি অামাদের পেট ঠিক রাখতে পারি তাহলে আমাদের শরীর এমনিতেই শুস্থ হয়ে যাবে। আর এই পেট ঠিক রাখার জন্য ২টো বিষয় সবচেয়ে বেশি দরকার । তা হলো (১) জাংক ফুড না খাওয়া। (২) হজম শক্তি ভাল রাখা। এই দুটো জিনিস ঠিক করার জন্য ্এতটা নিয়ম অনুশরন করলেই  হবে। আর তা হলো ৩২ বার খাবার চিবিয়ে খাওয়া। যে কোন জাংক ফুড যদি আপুনি ৩২ বার চিবিয়ে খান তাহলে দেখবেন তা খেতে একেবারেই ভা্ল লাগছেনা। বিপরিতে কোন স্বাস্থকর খাবার আপনি যত বার চিবিয়ে খাবেন ঠিক ততবারই ভাল লাগবে। যদি আপনি এই নিয়ম টা অনুসরন করেন তাহলে আপনার আর জাংক ফুড খেতে ইচ্ছাই করবেনা। তাছার হজমের কাজ আমাদের মুখের ভিতর ই ৫০% হয়ে যাওয়ার কথা। বাকি ৫০% পেটের ভেতর হয়।খাবার তারাতারি খেয়ে ফেললে মুখের ৫০% কাজ ঠিকঠাক ভাবে হওয়ার সুযোগ পায় না। যার কারনেই পেটে বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি হয়। ৩২ চিবিয়ে খাওয়ার অভ্যাস  একবার করতে পারলেই কত গুলো সমস্যা থেকে বাচতে পারবেন অাপনি নিযেই বুজতে পারছেন।

【৫】স্বাস্থকর পরিবেশ তৈরি করেন
CREATE A HEALTHY ENVIRONMENT
যদি আমাদের কাছের বন্ধু বান্ধবিরা সব এরকম হয় যে জাংক ফুড ছারা তাদের চলেইনা। লেপ খাওটা তাদের কাছে একাটা সাধারন ব্যাপার। আর এক্সারসাইজ করা তাদের কাছে সবচেয়ে বেশি বিরক্তিকর। কিছুক্ষন পর পর সিগারেট বা মাঝে মাঝে জল খাওয়ার পার্টি। যদি তাদের সাথে মিসেন তাহলে তাদের সাথে খাপ খাওয়ানোর জন্য ওই সব্ কিছু খাওয় আপনার কাছে সাধারন ব্যাপারই হবে। অপরদিকে আপনার কাছের বন্ধুরা সবাই যদি এরকম হয় যে যারা স্বাস্থের প্রতি খুবই সচেতন। জাংক ফুড একেবারেই খায়না। তাহলে অাপনার পক্ষে সেরকম ভাবে চলা একেবারেই স্বাভাবিক। তাই আপনার কাছের ৫ জন মানুষ যাদের সাথে আপনার সবচেয়ে বেশি সময় ব্যায় করেন তাদের এমন ভাবে নির্বাচন করুন। তারা যেন স্বাস্থ সচেতন হয়। তারা যেন বোজে HEALTH IS THE REAL WEALTH. যদি আপনার ঘরের ফ্রিজ ভর্তি জাংক ফুড থাকে তাহলে আপনার সেগুলো খেতে ইচ্ছা করবেই। আপনার ফ্রিজে এবং ঘরে আজ থেকই জাংক ফুড আনা বন্ধ করুন।