মোনাকো পৃথিবীর ধনীদের আনন্দ আশ্রম l Monaco-The playground of the Rich & Famous for leisure time
ইটালি থেকে মোনাকো যাওয়ার পথে
এই প্রথম আমরা গর্তে ঢুকলাম। এখালে রাস্তা এগিয়ে গেছে সরল পথে। পাহার বাধা হতে পারতো কিন্তু সেই পাহার ছিদ্র করে সোজা পথে এগিয়েছে রাস্তা। তাই টানেল এর পর টানেল আসে কিন্তু গাড়ির গতি কমে না। এরি মধ্যে আমাদের প্রিয় বন্ধু নিষান ঘুমিয়ে পরেছে আর আমাদের আসেপাশের সুন্দরর্য দেখতে দেখতে ক্লান্ত হয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা। ছোট্ট একটা শহরে কফি বিরতি নিলাম আমরা। এর পর আবার শুরু হলো ছুটে চলা অভিরাম। এর মধ্যেই আমরা ফ্রান্স এর সিমান্তে এসে পৌছালাম। ইটালি থেকে আসা গাড়িগুলো চেকপোস্ট পার হওয়ার জন্য কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে হয়েছিলো। ছোটখাটো একটা যানজট দেখে কিছুটা খুসিই হয়েছিলাম। কারনটা হয়তো বলতে হবে না । তাও বলছি বাংলাদেশের যানজট দেখে অভ্যাসতো তাই অানেকদিন পরে যানজট দেখে ভাল লাগছিলো। কিন্তু তা আর বেশিক্ষন দেখতে হলো না। আমরা সিমান্ত পেরিয়ে ফ্রান্স এ ডুকে পরেছি। তারপর পাহারের রাস্তা দরে এগেোতে লাগলাম। এখানে কিছুক্ষন পর পর টোল দিতে হয় আর তাই আমাদের ও কয়েটা যায়গায় টোল দিতে হয়েছে। এগিয়ে যেতে যেতে সামনে দেখলাম মনোমুগ্ধকর পাহার। এভার দেখতে দেখতে চলে এলাম নিজ শহরে। শুনেছি এখানে নাকি আগে মুসলিমদের আদিপত্ত ছিলো। একটু পরে আমরা নিজ শহরের ভুমধ্য সাগরের পাস দিয়ে চলতে শুরু করলাম। সমুদ্রের পাস দিয়ে যাওয়ার সময় দেখার লোভ সামলাতে পারলামনা। তাই কিছু সময়ের জন্য সেখানে নামলাম। এবং জটপট কিছু স্টিল ছবি তুলে নিলাম।
এই হলো সেই জয়গা যেখানে ২০১৬ সালের ১৪ই জুলাই ভয়াবহ সন্ত্রাসি হামলা হয়েছিলো। নিহত হয়েছে প্রায় ৮৬জন মানুষ । সেই দিনটি এখান কার কালো দিন হিসেবে পরিচিত। আমরা আস্তে আস্তে অারো উপরে উঠতে লাগলাম। বলতে গেলে পয়ের কাছে নিজ শহর আর ভুমধ্য সাগর। সমুদ্রের নীল জলরাশি আর অপরূপ সুন্দর পরিবেশ টা হৃদয়ে দারন করে আমরা আবার বওয়ানা হলাম মোনাকোর উদ্দেশ্যে।
মোনাকো হলো পৃতিবীর দিতীয় ক্ষুদ্রতম দেশ। আকারে ক্ষুদ্রতম হলেও অর্থনৈতিকভাবে খুবুই সমৃদ্যশালী দেশ। মেলান থেকে এখানে আসতে টোল দিতে হয়েছে প্রাই ৭০ ইউরো। যা বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ৭০০০ হাজার টাকা। মোনাকোকে পৃথিবীর সব ধনী ব্যাক্তিদের খেলাঘর বলা হয়। কারন এখানে কর দেওয়ার নিয়ম অনেক সহজ যা ধনীদের জন্য খুবেই সুবিধাজনক এবং প্রত্যাসিত। মোনাকোর আয়তন প্রায় ১.৯৮ কিমি
জনসংখ্যা প্রায় ৩২ হাজার
সামরীক বাহিনি নেই বললেই চলে এরা নিযেদের প্রতিরক্ষার জন্যা পুরোপুরি ফ্রাস্নের উপর নির্ভরশীল।
এডমিন
ঢাকা, বাংলাদেশ
No comments