ওরাও কি হেসেছিল
বহু বছর আগের কথা। চীনে এক ধরনের ডাইনোসর ছিলো। পেলিওসরাস নামেও ডাকা হতো তাদের। বর্তমানে কোন ডাইনোসর পৃথিবীতে নেই। নেই কোন পেলিওসরাস। অনেক আগেই বিলুপ্ত হয়ে গেছে তারা। কিন্তু তাদের অস্তিত্ব হিসেবে তাদের হার গোর মাটির নিচে এখনো পাওয়া যায়। অনেক কিছু খুতিয়ে বের করেছে বিজ্ঞানিরা সেগুলো থেকে। তী খেয়েছিল তারা, হেটেছিলো কিভাবে, কিভাবে একে অপরের সাথে ঝগড়াঝাটি করেছিলো। আরও অনেক কিছু। হাসতে ও পারতো নাকি পেলিওসরাসরা। অনুমান করা হয়েছে এরাই নাকি প্রানি কূলের মধ্যে প্রথম হাসতে শেখে। এখন থেকে প্রাই ২০কোটি বছর পূর্বে অনেক পুরোনো এক পৃথিবীতে মৃদু বাতাস বহা হালকা রোদেলা এক বিকেলে গাস খাওয়ার সময় দুইটি পুরুষ এবং স্ত্রী পেলিওসরাস খিলখিল করে হেসেছিল। অনেক গবেষনা করে বিজ্ঞানিরা দেখছেন তাদের হাসি বর্তমান কালের মানুষ বা হোমোসেপিয়েন্সদের হাসির সাথে কোন মিল নেই। অনেকেই আবার বলেছেন কৌতুকের হাসির জন্মও তখন হয় নি। কিছুদিন পর এই পেলিওসরাসদের মধ্যে থেকে এক বৃদ্ধ পেলিওসরাস মনমরা আর গম্ভির হয়ে গিয়েছিল। খুবই গম্ভির থাকত সারাদিন কারো সাথে কোন কথা বলত না। একা একা মাঠে চরত আর নিঃচুপ হয়ে ঘাস খেত। প্রায় আকাশের দিকে তাকিয়ে মনের অজান্তেই দীর্ঘশ্বাস ছাড়তো। ( হয়তো তখনও দীর্ঘ
শ্বাসের মানে জানতো না কেউ। ) এটা হয়তো দীর্ঘশ্বাস জন্ম হবার অনেক আগের পর্যায়। তারপর আবার নিচের দিকে তাকিয়ে কোনরকম উদর পূর্তির জন্য ঘাস খেতেন। এরপর আর কোনদিন তাকে কেউ হাসতে দেখে নাই। সবাই বলতো ব্যাপার কী? এই পেলিওসরাসটি হসে না কেন? কিন্তু কেউ কোন উত্তর পায় নি।
বেশ কিছুদিন পরে খুব বুদ্ধিমান একজন বুঝতে পেরেছে এই পেলিওসরাসটা কেন এত মন মরা হয়ে থাকে। কি কারনে সে হাসতে ভূলে গিয়েছিল। সে অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। বনের শেষ প্রান্তে লোমস আর সাদা রং এর এক হাতি বাসা বেধে অবস্থান করেছে। সেই লোমস আর সাদা হাতি ছিল ত্রিকালদর্শী। সে কারো হাতের রেখা দেখলেই ভবিষ্যৎ বলতে পারত। এই পেলিওসরাসটি অবশ্যই সেই হাতিকে তার হাত দেখিয়েছিল। হাতি তো হাত দেখে অবাক হয়ে বলেছে সর্বনাস। তোদের অস্তিত্ব নিঃশেষ হয়ে যাবে। সব ডাইনোসররা বিলুপ্ত হয়ে যাবে । আর মাত্র কয়েক কোটি বছরের মধ্যে।
সেই লোমস সাদা হাতি যা বলত তাই ঘটত। তাই সবাই এই ত্রিকালদর্শী হাতিকে বিশ্বাস করত। এসব কথা জেনে পেলিওসরাসটি সব সময় মন সরা হয়ে থাকত। অন্যরা কষ্ট পাবে ভেবে সে কাউকেই এই কথাগুলো বলেনি। নিজের ভেতর সব কষ্ট চেপে রেখেছিল।
এই গল্পটা বহু বছর আগের তখন বাঙ্গালি ছিল না, পাকিস্তানি ছিলনা, ছিলনা কোন ইংরেজ বা রাশিয়ান। অনেকের প্রশ্ন জাগতে পারে তাহলে আমি এত সব তথ্য কেমনে জানলাম। কয়েক কোটি বছর আগের ঘটনা সম্পর্কে কিভাবে এত নিশ্চিৎ হলাম।
অপেক্ষা করেন.........
বলছি.........................
বেশ কিছুদিন যাবত আমার মন খুব খারাপ। বন্ধুরা সহ অনেকেই জিজ্ঞেস করে কেন আমি এত মন মরা থাকি। কেনই বা আগের মতো হাসি না। কারো কাছেই কোন উওর দেই নি। বলিনি কোন ত্রিকালদর্শী কে হাতের রেখা দেখিয়েছি। আসল কথা হলো আমি এর কিছুই বলব না। হুশশশশশশশশশশশশশশশশ.......................................
*********************************************************************************
* *
* সম্মানিত পাঠক আপনাকে স্বাগতম এবং শুভেচ্ছা, গল্পটা ভাল লাগলে অবশ্যই শেয়ার করবেন * * বন্ধুদের সাথে । আপনার শুস্বাস্থ আর মঙ্গল কামনা করছি। *
* *
*********************************************************************************
very nice and excellent ............. stay and update more story for us.
ReplyDelete