মিষ্টি হাসি

সারা বেলা কাজ আর কাজ, কাজের ফাকে বাসায় রেখে অাসা সোনামনিটাকে খুব মনে পরে । মনটা মাঝে মাঝে কোথায় যেন হারিয়ে যায় । আমার সোনামনির নানা রকম দুষ্টামির কথা মনে পরে । আমাদের সবার কিছু স্বপ্ন থাকে, আমরা যেন আমাদের ছেলে মেয়েকে উচ্চাশনে দেখতে পারি আর সে চিন্তা  করেই কিছু বারতি আয় করার জন্য অন্যদের চেয়েও  একটু বেশি সময় কাজ করি । মাঝে মাঝে জীবনটাকে যান্ত্রিক লাগে ।  মনে হয় শুধু  কাজ করার জন্যই পৃৃথিবীতে আমার জন্ম । সবার দায়ীত্ব আমার উপর, কিন্ত আমার দায়ীত্ব নেয়ার মত কেউ নাই। এই যান্তিক জীবন অার কত দিন যানি চলবে কে যানে।  দিন  দিন সবকিছু কঠিন থেকে কঠিন হয়ে পরছে। মনে হচ্ছে সামনের দিনগুলো আরো কঠিন হয়ে পরবে ।  আর এর মদ্ধে চাকরির অবস্তাটা বেশি ভাল না, সব মিলিয়ে খুব  চিন্তায় আছি । বসের চাপাচাপি, কাজের প্রেসার, ভবিস্যৎ দুশ্চিন্তা, নিযের প্রতি অযত্ন সব কিছু ভেবে মনে হচ্ছে দিন দিন তলিয়ে  যাচ্ছি। হঠাৎ সেই ছোট বেলার কথা মনে পরে যায়। কতটাই না আনন্দের ছিল, সকালে স্কুলে যেতাম, বিকালে বাড়ির পাসের মাঠটাতে পাড়ার ছেলেদের সাথে ‍কত  রকম খেলায় মেতে উঠতাম। একদিন এর কথা মনে পরলেতো হাসি ই পায়। আমরা সবাই খেলতেছিলাম, হঠাৎ  একটা ছোট বাচ্চা আমায় বলতেছে ভাইয়া কে যেন এখানে পায়খানা করেছে, কথাটা শুনেই আমার মাথায় দুষ্ট বুদ্ধি উদয় হল। অামি বললাম চুপ কাউকে ‍কিছু বলিস না এগুলো বালি দিয়ে ঢাক, ও ঢাকলো, আমি বললাম কাউকে কিছু বলবিনা। ও সম্মতি দিয়ে মাথা নারালো। আমি সবাই কে ডাকলাম আর বললাম এখানে বালির মধ্যে আমার পয়সা হারিয়েছে তো সবাই দুই হাতে হাতাও আর ভালো ভাবে খোজ যে পাবে টাকাটা তার। সবাই তো তাদের মতো করে কাজ শুরু করে দিয়েছে। পরক্ষনেই একজন বলল এখানে পায়খানা হাতাইতাছি অামরা.............। ততখনে অনেকেই তাদের হাতে লাগিয়ে ফেলেছে। যারা দারিয়ে ছিল সবাই তো হাসতে হাসতে শেষ। এছারাও আরও কত রকমের দুষ্টামিই না করেছি। অথছ এখন কি রকম জীবন যাপন করছি। সবটা ভাবেতে গেলে মনটাই অন্য রকম হয়ে যায়। মনটা যত খারাপই থাকুক না কেন যখনই আমার বাড়িতে রেখে আসা সোনামনির মিষ্টি হাসির কথা মনে পরে তখনই মনটা ভালো হয়ে যায়। 

আমাদের সবার ভাবনা হল যে আমরা অন্যদের জন্য কত কিছুই না করছি আমাদের জন্য তো কেউ ‍কিছু করছেনা কিন্তু আমরা কি কখনো এটা ভাবিনা যে ভোগে সুখ নয় ত্যাগেই প্রকৃত সুখ। পরখনেই ভাবতে থাকি আমার তো আনেক কিছু করতে হবে। সবার জন্য, আমার ছোট্ট সোনামনির মুখের হাসির, পিতা-মাতার জন্য, সমাজের জন্য। 

শিক্ষনিয়: ভোগে সুখ নয়, ত্যাগেই প্রকৃত সুখ।